মহানবীর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন নিয়ে মুখোমুখি তুরস্ক-ফ্রান্স
১ min readতুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান মুসলিম ও ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর সমালোচনায় করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
আলজাজিরা জানায়, এরদোয়ান এক মন্তব্যে ম্যাঁখোর ‘মানসিক চিকিৎসা দরকার’ বলায় তুরস্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়েছে ফ্রান্স।
মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন নিয়ে আলোচনা করায় ফ্রান্সে এক শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় গোটা দেশে ক্ষোভ দেখা দেয়। যার জেরে একটি মসজিদ বন্ধ করে দেয় ফ্রান্স সরকার। এ ছাড়া প্যারিসে হিজাব পরিহিত দুই নারীও ছুরিকাঘাত হন।
এর মধ্যে ম্যাখোঁর একাধিক বক্তব্যে মুসলিমদের সমালোচনা উঠে আসে। ফ্রান্স এমন ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন বন্ধ করবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ছাড়া এ মাসের শুরুতে ‘ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদ’ নিয়ে মন্তব্য করে তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, ফ্রান্সের কিছু মুসলিম কমিউনিটির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে সরকার। এমনকি গোটা বিশ্বে ‘ইসলাম সংকটে আছে’ বলেও মন্তব্য করেন ম্যাখোঁ।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার তুর্কি শহর কেইসারিতে ক্ষমতাসীন একে পার্টির একটি প্রাদেশিক কংগ্রেসে এদোয়ান বলেন, ‘মুসলিম এবং ইসলাম নিয়ে ম্যাখোঁর সমস্যা কি? তার মানসিক চিকিৎসা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘একটা দেশের প্রধানকে কী বলা যেতে পারে, যিনি বিশ্বাসের স্বাধীনতা বুঝেন না এবং তার দেশের ভিন্ন বিশ্বাসের লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে এমন আচরণ করেন? সবার আগে তার মানসিক পরীক্ষা করা উচিত।’
এদিকে এরদোয়ানের এমন বক্তব্যকে ‘আপত্তিজনক’ বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্স এবং তুরস্কে নিযুক্ত নিজের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য। বাড়াবাড়ি এবং রূঢ় আচরণ কোনো উপায় হতে পারে না। তিনি তার নীতির পরিবর্তন করবেন এমনটি আশা করছি, নয়তো বিষয়টি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।’