মার্চ ২৯, ২০২৪ ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

সংঘাত নিরসনে যুদ্ধবিরতি চায় আর্মেনিয়া

১ min read

নাগোরনো -কারাবাখ নিয়ে চলমান লড়াই-সংঘাতের ষষ্ঠ দিনে এসে আর্মেনিয়া জানিয়েছে, সংঘাত নিরসনে আজারবাইজানের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তত রয়েছে তারা। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে আর্মেনিয়া। এসব দেশ ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার (ওএসসিই) সদস্য।

তবে নাগারনো-কারাবাখে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃঢ়চেতা জবাব অব্যাহত থাকবে বলেও আর্মেনিয়ার ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন করে ৫৪ জনসহ মোট ১৫৮ সামরিক সদস্যের প্রাণহানি হয়েছে এই সংঘাতে। এরপরই আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিরতির ইচ্ছা প্রকাশ করলো।

আজারবাইজানের সঙ্গে সবশেষ এই লড়াই-সংঘাত নিরসন যে আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব; বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমবারের মতো শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিল আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত রোববার সামরিক লড়াই শুরুর পর এর আগে সংঘাত বন্ধে রাশিয়াসহ পশ্চিমা নেতাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি কোনো দেশ।

ছয়দিন ধরে চলা এই লড়াইয়ে কোনো সামরিক প্রাণহানির কথা না জানালেও আজারবাইজান জানিয়েছে যে, আর্মেনিয়ার সেনাদের গোলার আঘাতে আজারবাইজানের ১৯ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে দুই দেশের মধ্যে চলমান এই বিবাদ সর্বাত্মক লড়াইয়ে রুপ নেয়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। যাতে করে অনেকেই এতে যুক্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুই পক্ষের হয়ে সামনের সারিতে মুখোমুখি হতে পারে রাশিয়া এবং তুরস্ক।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আজারবাইজানের শক্তিশালী মিত্র হলো তুরস্ক। এদিকে আর্মেনিয়ায় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে রাশিয়ার। চলমান লড়াইয়ের মধ্যে তুরস্কের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে আর্মেনিয়া। অবশ্য তুরস্ক আর আজারবাইজান উভয়ই আর্মেনিয়ার এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের নিন্দা জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, জিহাদি গোষ্ঠীগুলোর ৩০০টি যুদ্ধবিমান সিরিয়া থেকে তুরস্ক হয়ে আজারবাইজানে পৌঁছেছে। তিনি একে বিপৎসীমার অতিক্রম বলে অভিহিত করে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছেন আঙ্কারার কাছে।

ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের এক বৈঠকে তিনি ন্যাটো জোটভূক্ত একটি দেশের (তুরস্ক ন্যাটোর একমাত্র মুসলিম সদস্য রাষ্ট্র) আচরণ নিয়ে মনযোগ দিতে ন্যাটোর সকল সদস্য দেশের প্রতি আহ্বান জানান।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানাচ্ছে, একইদিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক যৌথ বিবৃতিতে দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক সমস্যার সমাধানে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে গত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় লড়াইয়ের ঘটনা। পার্বত্য ওই অঞ্চলটি সোভিয়েত আমলে আজারবাইজানের অংশ ছিল। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে এক যুদ্ধে আর্মেনিয়ার সহায়তায় জাতিগত আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অঞ্চলটি দখল করে নেয়।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!