এই রোবটটিকে একজন ২৩ বছর বয়সী জাপানী নারীর অবয়ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সবচাইতে উন্নত স্পিচ সিনথেসিস সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত আছে এই রোবটে। মানুষের মতো দেখতে এই রোবট এপ্রিল মাস থেকে তার কাজ শুরু করবে বলে জানায় ডেইলি মেইল। এরিকা নামের এই রোবট এতই নিখুঁত করে তৈরি যে, তাকে দেখলে মনে হয় মানুষের মতোই একটি সত্ত্বা আছে তার।

ড. ইশিগুরো আরও জানান, তিনি নিজের তৈরি এই রোবট টেলিভিশনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন ২০১৪ সাল থেকে। শুধু সংবাদ পাঠক হিসেবে নয়, চালকবিহীন গাড়িতে আরোহীর সাথে কথা বলার জন্যও এরিকার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হতে পারে। রোবটটি হাত নাড়াতে পারবে না, আশেপাশে কোন শব্দ হলে বা কেউ কথা বললে তা বুঝতে পারবে, এবং তাকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলে তাও বুঝতে পারবে। ১৪টি ইনফ্রা-রেড সেন্সর এবং ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এরিকা একটি ঘরে কে কোথায় আছে তাও শনাক্ত করতে পারে।

সংবাদ পাঠক হিসেবে এরিকা ঠিক কীভাবে কাজ করবে সে ব্যাপারে খুব কম তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে ড. ইশিগুরো জানান, মানুষের লেখা খবর একত্রিত করে তা পড়বে এই রোবট।

অন্যদিকে এরিকার ‘আর্কিটেক্ট’ ও ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ডিলান গ্লাস জানান, এরিকাকে ছোট ছোট চুটকি বলাও শেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি রোবট চাই যা নিজে থেকে চিন্তা করবে, কাজ করবে এবং সবই করবে অন্য কারো সাহায্য ছাড়া।’

ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এবং জাপানের জেএসটি এরাতো সায়েন্স প্রজেক্টের অর্থায়নেই তৈরি হয়েছে এরিকা।

সূত্র: ডেইলি মেইল