মার্চ ২৭, ২০২৩ ১১:৪৩ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

ইউএস বাংলানিউজ, নিউইয়র্ক

অগ্রসর পাঠকের বাংলা অনলাইন

নিউ ইয়র্কের আলবেনিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

 প্রতি বছরের মতো এবারো ভাষা শহীদদের প্রতি সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে নিউ ইয়র্কের রাজধানী আলবেনির প্রবাসী বাংলাদেশিরা উদযাপন করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। গত শনিবার সন্ধ্যায় আলবেনির একটি চার্চের মিলনায়তনে

স্থানীয় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান সাহিত্য ও সাংস্কৃতিকপ্রেমিদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠে।

নিউ ইয়র্কের আলবেনি সাহিত্য একাডেমির সমন্বয়কারি ফারহানা পলির পরিচালনায় এবং আবৃত্তিকার মিজান প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নিউ ইয়র্ক সাহিত্য একাডেমির প্রধান সমন্বয়কারি মোশারফ হোসেন, প্রখ্যাত ছড়াকার মনজুর কাদের, শামস চৌধুরী রুশো, খালেদ শরফুদ্দিন, বাফার সভাপতি এমরানুল হক নির্ঝর ও উৎসবের সভাপতি প্রিতম বসু। এছাড়াও শহীদ দিবস ও মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর ইতিহাসসমৃদ্ধ বক্তব্য দেন স্থানীয় সংস্কৃতিসেবী আতাউর রহমান বাবুল।

নিউ ইয়র্ক সাহিত্য একাডেমির প্রধান সমন্বয়কারি মোশারফ হোসেন বলেন, প্রবাসে বাংলাভাষাভাষী মানুষ ও সাহিত্যপ্রেমীদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই আলবেনিতে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠালাভ করেছে। এর ফলে প্রবাসে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে নতুন উদ্দীপনার বিকাশ ঘটবে। তিনি বলেন, যে কোন প্রয়াসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সৃজনশীল মানুষের ঐকান্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন। একক প্রচেষ্টায় কোন কিছুরই সফলতা আসে না। এ সাহিত্য একাডেমিকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সাহিত্যপ্রেমিদের এগিয়ে এসে সকলকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।
আলবেনিতে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও আবৃত্তি চর্চাকে আরও গতিশীল করতে আমরা সচেষ্ট চেষ্টা করে যাব। বাংলা ভাষার প্রসার ঘটানোর জন্য গত তিন বছর ধরে আলবেনিতে সাহিত্য একাডেমি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে বলে জানান একাডেমির সমন্বয়কারি ফারহানা পলি।
তিনি বলেন, এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলেরঐকান্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন। একক প্রচেষ্টায় দেশের জাতীয় উৎসব পালন করা সম্ভব নয়। তবুও আলবেনিতে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও আবৃত্তি চর্চাকে গতিশীল করতে সাহিত্য একাডেমি চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে ছড়া আবৃত্তি করেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী প্রখ্যাত তিন ছড়াকার মনজুর কাদের,শামস চৌধুরী রুশো ও  খালেদ শরফুদ্দিন। কবিতা আবৃত্তি করেন শরীফুল আলম (স্বরচিত), মিজানুর রহমান প্রধান,ফারহানা পলি, শান্তনু সাজ্জাদ, কানু মল্লিক, তোফাজ্জল হোসাইন, সাথী শারমীন ,রুদ্র রোহান, ওমর ,ফামিন , ইফতি ,দিয়া ও রূপকথা সুমাইয়া সুখ। শহীদ দিবসের চিত্রাঙ্কনে অংশ নেন সাশা ও ফাহিম।
শেষ পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাকিয়া নিলুফার, সুরভী ইসলাম, ভিক্টর নীল, আব্দুল মতিন, হারুনুর রশিদ, কৌশলী ইমা, শর্মী খান, সুমাইয়া এলিজা, সুদীপ্ত সাহা, স্বার্থক চ্যাটার্জি ও শিশুশিল্পী ভ্যালিনা রশিদ। আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের নৃত্য পরিবেশন করেন তানিয়া রশিদ ও দিয়া। শব্দযন্ত্র পরিচালনায় ছিলেন রিপন রায় এবং চিত্রগ্রাহক ছিলেন শারমিন হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভায়োলিনে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীতের সুর বাজিয়ে শোনান লালন। স্থানীয় বাংলাদেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন,কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ আলবেনি প্রবাসী বংলাদেশিরা শহীদ বেদিতে পুস্পার্ঘ্য প্রদান করেন।

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!