এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৪:০১ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

ঝলমলে তারুণ্য ধরে রাখতে চাই সঠিক পুষ্টি

১ min read

সাধারণত টিনএইজ বয়সটা পার হওয়ার পর থেকেই বাড়তে থাকে দায়িত্বের বোঝা। পড়াশোনা, চাকরি, বিয়ের মতো ধাপ পাড়ি দেওয়া এবং জীবনের নতুন পরিবর্তনগুলোর সাথে ঠিকথাক খাপ খাইয়ে নেওয়ার সময়টা হচ্ছে ২৯-৩০ বছর। এসময় ঠিক যেন ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘুরতে থাকে জীবনটা। কখনও জেঁকে বসে হতাশা, কখনবা ছুটতে ছুটতে ভর করে ক্লান্তি। এ বয়সে তাই সঠিক জীবনযাত্রা এবং সঠিক খাদ্য ও পুষ্টি পরিকল্পনা খুব জরুরি।

গবেষণায় দেখা গেছে, বয়ঃসন্ধিকালের তুলনায় শরীর ২৫ শতাংশ বেশি পরিমাণের ক্যালোরি গ্রহণ করে থাকে এ সময়। আর এই বাড়তি খাবারটুকু যদি পরিপূরক পুষ্টিকর খাবার দিয়ে আমরা সাজাতে পারি, তবেই হবে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস।

এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রোটিন। দিনে কম করে হলেও ৬০/৭০ গ্রাম প্রোটিন আমাদের খেতে হবে। মুরগি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন পেতে পারেন।

২০-২৯ বছর বয়সে পটাশিয়াম খুবই গুরত্বপূর্ণ। কিন্তু তা আমরা প্রয়োজনের তুলনায় কম নিয়ে থাকি। যদি সঠিক মাত্রার পটাশিয়াম আমরা পেতে চাই, তবে প্রায় ২ কাপ পরিমাণের ফল (কলা,আপেল ইত্যাদি), ২ কাপ সবজি খাওয়া যেতে পারে। এতে একই সাথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালিত হবে।

আরও একটি উপাদান হল ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি আমাদের দেহে সেরটোনিন এর মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। সেরেটোনিন মস্তিষ্কের প্রশান্তি বাড়িয়ে দেয়। এই বয়সে অনেকেই হতাশাগ্রস্থ থাকে, তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সাধারণত সামুদ্রিক মাছ, বাদাম ইত্যাদি থেকে পাওয়া যায়। বাজারে আজকাল অনেক ধরনের তেলে ওমেগা-থ্রি পাওয়া যায়।

সারাদিন নানারকম ব্যস্ততার কারণে ঠিকমত পানি খেয়ে ওঠা হয় না। অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি বা দুই লিটার মতো পানি পান করতে হবে দিনে। এছাড়া নানা ধরনের ফলের জুস খেতে পারেন যা কিনা পানির চাহিদা পূরণ করবে এবং একইসাথে শরীরে ভিটামিনের জোগান দিয়ে থাকবে।

আপনার শরীরের তারুণ্যকে ধরে রাখতে প্রতিদিন গাজর,পালংশাক, মিষ্টি আলু, ব্লুবেরি, গ্রিন টি, কাঠবাদাম, অলিভ অয়েল, টমেটো ইত্যাদি খুবই প্রয়োজনীয়। সুস্থ থাকতে তাই আজ থেকেই পুষ্টিকর উপাদানগুলো গ্রহণ করুন এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করুন।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!