এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৭:৪০ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

জামায়াতের প্রার্থীদের নির্বাচন করতে বাধা নেই

১ min read

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের নির্বাচন করতে বাধা নেই বলে মত দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে রিট আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে একই সঙ্গে জামায়াতের ২৫ জনের প্রার্থিতা বহাল রাখার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যেহেতু প্রার্থিতা অনুমোদন ও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেহেতু এ পর্যায়ে এসে আইনগতভাবে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই বলে নির্বাচন কমিশন (ইসির) সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদন করা হয়েছিল।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এ রিট আবেদন করেন।

ওই দিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন সাজু। নির্বাচন কমিশন (ইসির) পক্ষে ছিলেন ড. ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ইয়াসীন খান। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শানজানা ইয়াসীন খান।

ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের ইসলামীর প্রার্থিতা আইনগতভাবে বাতিলের সুযোগ নেই বলে নির্বাচন কমিশন যে চিঠি দিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছিলাম।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর (সোমবার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ প্রার্থীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী একটি রিট দায়ের করেছিলেন।

পরে ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রিট শুনানি শেষে রুল জারি করে আদেশ দেন। আদেশে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবসহ চারজনের আবেদন তিনদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন।

২০০৮ সালে তরিকত ফেডারেশনের দায়ের করা এক রিট মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন (২০১৩ সালের ১ আগস্ট) অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন।

এর বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী আপিল করলেও তারা এর শুনানি করেননি। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অন্য দলের প্রতীক ও স্বতন্ত্র হয়ে তারা নির্বাচন করছেন। আইনের প্রতিষ্ঠিত রীতি যা প্রত্যক্ষভাবে করা যায় না, তা পরোক্ষভাবেও করা যায় না। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত রুলসহ ইসির প্রতি ওই নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

জামায়াতের প্রাথীরা হলেন- ঢাকা-১৫ আসনে ডা. শফিকুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-৪ রফিকুল ইসলাম খান, খুলনা-৬ আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা-১১ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পারোয়ার, পাবনা-৩ আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৫ ইকবাল হোসাইন, যশোর-২ আবু সাঈদ মো. শাহাদাত হোসাইন, ঠাকুরগাঁও-২ আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান।

সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, নীলফামারী-২ মো. মনিরুজ্জামান, ঝিনাইদহ-৩ মতিয়ার রহমান, বাগেরহাট-৩ ওয়াদুল শেখ, বাগেরহাট-৪ আব্দুল আলীম ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনে শামসুল ইসলাম।

জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদ কক্সাবাজার-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে বিএনপি অন্য কোনো প্রার্থী দেয়নি। এ ছাড়া জামায়াতের নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম-১৬ এবং ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান পাবনা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!