‘জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণার সুযোগ নেই’
১ min readনিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা আবেদনে সায় দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ জানিয়েছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর কমিশনে এর বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি। ফলে কমিশনের পক্ষে এখন জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণার সুযোগ নেই।
রবিবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত রাতে ব্রিফিং করে জানিয়ে দেন ইসি সচিব। এই সিদ্ধান্তে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো বাধা থাকছে না।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতের ২১ জন নেতাকে এবার ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছে বিএনপি। আরো একজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয়েই নির্বাচন করছেন বিএনপির সমর্থনে। তরীকত ফেডারেশনের নেতা রেজাউল হক কাঁচপুরী বিএনপির এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। আর গত বুধবার এক আদেশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনটির নিষ্পত্তি করতে ইসিকে নির্দেশনা দেয় উচ্চ আদালত।
ইসি সচিব বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসাররা এসব প্রার্থীর (জামায়াত নেতারা) মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিল। তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিলও করা হয়নি। সেক্ষেত্রে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাই তাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে আইনগত কোনো সুযোগ নেই বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’
হাইকোর্টের রায়ের পর আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের কাছে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল। আর বিএনপি এক চিঠিতে জানিয়ে দেয়, জামায়াতের প্রার্থী নেই কেউ, সবই তাদের দলের ধানের শীষের প্রার্থী।
এক প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘জামায়াতের এসব সদস্য ইসির কাছে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবে।’
‘আদালত আমাদের তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে; আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। সোমবার তা আদালতে জানিয়ে দেব।’
পুনঃতফসিল বিষয়ে বিএনপির আবেদন নাকচ
উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থী শূন্য হয়ে যাওয়া আসনগুলোতে নতুন করে তফসিল দেওয়া অথবা বিকল্প প্রার্থীদের একজনকে প্রার্থী করার বিষয়ে বিএনপির দাবিও নাকচ করেছে কমিশন।
ইসি সচিব বলেন, ‘যেসব আসনে আদালতের নির্দেশনায় প্রার্থিতা টিকেনি সে আসনে বিএনপি বিকল্প প্রার্থী বাছাই ও ভোট স্থগিত করার কোনো সুযোগ নেই।’
বিএনপি যাদেরকে প্রার্থী করেছে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ১৩ জনের প্রার্থিতা স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত। এর মধ্যে ছয়টি আসনের ব্যাপারে নিষ্পত্তি হয়েছে আপিল বিভাগে। ফলে তারা ভোট করতে পারছেন না এটা নিশ্চিত। আর সাতটি আসনের বিষয়ে আদেশ এসেছে হাইকোর্ট থেকে। তারা এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব জানান, ২৯৩ আসনের ব্যালট পেপার চূড়ান্ত। আর ৩০ ডিসেম্বর ২৯৯ আসনে ভোট হবে।
ছয়টি আসনে এবার ভোট হবে ইভিএমে। ফলে সেসব আসনের জন্য ব্যালট পেপার ছাপতে হবে না। আর একটি আসনে ভোট স্থগিত হয়েছে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে।
ইসি সচিব বলেন, ‘২৯৩ আসনের ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। মুদ্রণ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগির রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে।’
গাইবান্ধা-৩ আসনে পুনঃতফসিল
গাইবান্ধা-৩ আসনের এক প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করেছে কমিশন। আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট নেওয়া হবে সেখানে। সেখানে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ওই আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা টি আই এম ফজলে রাব্বী মিয়া গত ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। সেদিনই আসনটিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।