এপ্রিল ২০, ২০২৪ ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

৫ দিনের রিমান্ডে বিএনপির নিপুণ-রুমা

১ min read

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। আর আরিফা সুলতানা রুমাকে গ্রেফতার করা হয় হাইকোর্ট এলাকা থেকে।

অপরদিকে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক, সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীনকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বেবী নাজনীন ও নিপুণ রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, নয়াপল্টনে পুলিশের গাড়ি পোড়ানো মামলায় নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলের অনেককে আসামি করা হয়েছে।

নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। তিন মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

হুকুমের আসামিরা হলেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন।

দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই বুধবারের ওই সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান নিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

অন্যদিকে, নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষিপ্ত মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জ্বালিয়ে দেয়া পুলিশের পিকআপ ভ্যানটির নম্বর ২৩১১। পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গাড়িটি ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে। ওইদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের পিকআপ ভ্যানটি জ্বালিয়ে দেয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। সংঘর্ষে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ছাড়া পাঁচজন অফিসার ও দুজন আনসারসহ মোট ২৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!