নায়িকা পরীমনির বাসার নিরাপত্তা জোরদার
১ min readঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির বাসার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তার বনানীর বাসার সামনে থানা পুলিশের একটি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। বনানী থানার একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) নেতৃত্বে ৫ সদস্যের পুলিশ দল সোমবার সকাল থেকে নায়িকা পরীমনির বাসার সামনে অবস্থান করছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘নায়িকা পরীমনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।
‘পরবর্তীতে তার কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা নিশ্চয়ই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে রোববার ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার পর গণমাধ্যমের সামনে বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন পরীমনি।
তিনি জানান, ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরা বোট ক্লাবে। নাসিরউদ্দিন নামে একজন তাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে এই ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন।
নাসির ইউ মাহমুদ বা নাসিরউদ্দিন মাহমুদ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি কুঞ্জ ডেভলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান। উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ছিলেন লায়ন ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান।
তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে পরীমনি জানান, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগ আনেন হত্যাচেষ্টারও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে আবেদনপত্রের ঢঙে লেখা ওই স্ট্যাটাসে পরীমনি বলেন, ‘আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা। মা আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।’
পরীমনি লেখেন, ‘আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেইপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
পরিচিত বা চেনাজনদের যে পরীমনি এ ঘটনা বলেছেন, সেটিও তিনি লিখেছেন। তবে কারও সহযোগিতা পাননি বলে অনুযোগ করেছেন।
পরীমনি লেখেন, ‘যাদের পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!’
পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের উদ্দেশে পরীমনি লেখেন, ‘এই বিচার কই চাইব আমি? কোথায় চাইব? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজীর আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাই না, মা।’
তিনি লেখেন, ‘আমি চুপ কী করে থাকতে পারি মা? আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোনো অন্যায় মেনে নিতে!’, শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে লেখেন তিনি।
আড়াই বছর বয়সে মাকে হারানোর কথা তুলে ধরে পরীমনি লেখেন, ‘এতদিনে কখনো আমার এক মুহূর্ত মাকে খুব দরকার এখন, মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে, ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার, একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার।’