কী কথা হলো খালেদা-জাফরুল্লাহর মধ্যে?
১ min readগণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত। তার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ফোন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকায় খালেদা জিয়ার ফোন ধরতে পারেননি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তারপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া দুই প্রতিনিধি পাঠান ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কার্যালয়ে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে দেয়া ঈদের শুভেচ্ছা হিসেবে কিছু ফল ও একগুচ্ছ ফুল নিয়ে উপস্থিত হন ধানমন্ডিতে। তারা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বার্তা ও শুভেচ্ছা তার কাছে পৌঁছে দেন। এরপর মোবাইলে কথা হয় দুজনের মধ্যে।
তাদের মোবাইলে কথোপকথনের সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন। গুলশানের নিজ বাসায় খালেদা জিয়া এবং ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া অসুস্থ জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিকেলে ফোন করেন। কিন্তু জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঘুমিয়ে থাকায় খালেদা জিয়া তার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তারপরই খালেদা জিয়ার দুজন প্রতিনিধি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
গত সোমবার (২৫ মে) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হলে তার করোনা পজিটিভ আসে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এই ভাইরাস শনাক্তকরণে কিট উদ্ভাবনে নামে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটি দল তা উদ্ভাবনও করে। উদ্ভাবিত এ কিটের সক্ষমতা যাচাই চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।
এ পরীক্ষায় সফলতা পেলে চূড়ান্ত র্যাপিড ডট ব্লট কিট ব্যবহারের অনুমোদন দেবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। তারপরই গণস্বাস্থ্য তাদের উদ্ভাবিত কিট সবার করোনা পরীক্ষায় ব্যবহার করা যাবে। এ কিট উদ্ভাবন প্রক্রিয়া মিডিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের সমন্বয় করে আসছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।