এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৩:০৯ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

নাইকোর বিরুদ্ধে মামলায় বাংলাদেশের জয়

১ min read

টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণের ঘটনায় কানাডিয়ান বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি নাইকোর বিরুদ্ধে করা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এ বিষয়ে দেয়া রায়ে নাইকোকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালত (ইকসিড)। রোববার (৩ মে) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নাইকো বাংলাদেশে কাজ পেয়েছিল তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে বড় অঙ্কের ঘুষ দিয়ে। এই রায়ের মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হলো যে, একটা গণতান্ত্রিক সরকারের কাছ থেকে দুর্নীতি করে কেউ পার পেতে পারে না। এটা এখন আমরা আন্তর্জাতিকভাবেই প্রমাণ করলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার আগে দেশের স্বার্থ দেখেন, এটা আরও একবার প্রমাণ হলো এই রায়ের মাধ্যমে।’

দীর্ঘ ১০ বছর আইনি প্রক্রিয়ার পর এই মামলার রায় বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইকসিড এই রায় প্রদান করে। তবে মার্চের শুরুতে সংবাদ সম্মেলন করে এই রায় জানানোর কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির জন্য তা পিছিয়ে দেয়া হয় বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে যে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয় তা ২০১৮ সালে ইকসিডে জমা দেয়া হয়েছে। ইকসিড রায়ে বলেছে নাইকোর গাফিলতি এবং অদক্ষতার জন্যই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ফলে এর দায় নাইকোকেই নিতে হবে। বাংলাদেশকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতির বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আগামী সেপ্টেম্বরে আবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

সবমিলিয়ে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সরকার টেংরাটিলা, ফেনী ও কামতা গ্যাসক্ষেত্রকে ‘প্রান্তিক’ (যে ক্ষেত্র থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে) দেখিয়ে সেখান থেকে গ্যাস তোলার জন্য ১৯৯৯ সালে নাইকো-বাপেক্স যৌথ উদ্যোগের সঙ্গে চুক্তি করে। ওই চুক্তির অধীনে নাইকোর অদক্ষ কূপ খনন প্রক্রিয়ার কারণে ২০০৫ সালে দু’বার (৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন) সুনামগঞ্জের টেংরাটিলা গ্যাসক্ষেত্রে বিস্ফোরণ ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে মজুত গ্যাস পুড়ে যায়। আশপাশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এজন্য নাইকোর কাছে ৭৪৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে পেট্রোবাংলা, যা দিতে অস্বীকৃতি জানায় প্রতিষ্ঠানটি। ক্ষতিপূরণ আদায়ে পেট্রোবাংলা নাইকোর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে স্থানীয় নিম্ন আদালতে মামলা করে।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!