এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৫:১৩ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

এরশাদ অমায়িক ছিলেন: প্রধানমন্ত্রী

১ min read

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অমায়িক ব্যক্তিত্বের ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ০৮ সেপ্টেম্বর, রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে আনীত শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেনারেল এরশাদের ব্যবহার আচার-আচরণ অনেক অমায়িক ছিল। মানুষের প্রতি তার দরদ ছিল। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে জিয়া ক্ষমতায় আসেন। তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেননি। যেটা জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসে করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার প্রার্থী হন। তখন এরশাদ দেশের বাইরে গিয়ে বলেছিলেন, সাত্তার তাদের প্রার্থী। আমরা এর প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসেননি। সাত্তার সাহেব ছিলেন তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে হঠাৎ করে সাত্তার সাহেবের বিরুদ্ধে একটা বিবৃতি দেন। ‘৮২ সালে এরশাদের ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। বিনিময়ে এরশাদ সাহেব তাকে দুটি বাড়ি এবং নগদ ১০ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। জিয়ার মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা হয় কিন্তু বিএনপি কোনোদিন এই মামলা পরিচালনা করেনি। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান হত্যার জন্য খালেদা জিয়া এরশাদকে দায়ী করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এক মিলিটারি ডিক্টেটরের পরিবর্তে আরেক মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায় আসুক এটা আমাদের কাম্য ছিল না, এজন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫ দল এর প্রতিবাদ করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমাকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উৎড়াই অতিক্রম করতে হয়েছে। জেনারেল জিয়া ৩২ নম্বরের বাড়িতে আমাকে ঢুকতেই দেয়নি, এটাই বাস্তবতা। এরশাদ প্রথমে মার্শাল ল’ জারি করে পরে নিজেই ক্ষমতা দখল করে নেয়। ৭৫ সালে জাতির পিতা হত্যার পর জেনারেল জিয়া ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে, এরপর এরশাদও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে। উচ্চ আদালত তাদের এই ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। অবৈধ যখন ঘোষণা করেছে, তখন তাদের দুজনের কেউই আর রাষ্ট্রপতি থাকে না, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী তাদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা বৈধ নয়, এটাই বাস্তবতা। কারণ এই একটি রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ হয়েছে।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!