বাঘের গর্জনে কেঁপে উঠলো ক্রিকেট বিশ্ব
১ min readটাইগাররা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম এর ভবিষ্যত বাণীকে। বাংলাদেশ জিতেছে বাংলাদেশের মতোই; দাপটের সাথে। ম্যাককালামের তথাকথিত ভবিষ্যত বাণীকে মিথ্যা প্রমাণ করে। ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন, বাংলাদেশ মাত্র একটা ম্যাচ জিতবে। তাও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
০২ জুন, রোববার ‘দ্য ওভালে’ গায়ানার স্মৃতি ফিরিয়ে আনল টাইগাররা। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেসময় বাংলাদেশ ছিল উদীয়মান দল। কিন্তু এবার অনেক বেশি পরিণত, সমীহ জাগানো দল। ফলে এই জয় আর ‘বিস্ময়’ নয়, যোগ্যতম দল হিসেবেই জিতেছে মাশরাফি বিন মুর্তজাররা। এর মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ। এদিন প্রথমে ব্যাট করে বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসের রেকর্ড রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান করে টাইগাররা। যা টুর্নামেন্টে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর।
মুশফিকুর রহীম বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেছেন। সাকিব আল হাসান ৭৫, সৌম্য সরকার ৪২, মাহমুদউল্লাহ অপরাজি ৪৬*, মোসাদ্দেক হোসেন ২৬ ও মোহাম্মদ মিঠুন ৩২ রান করেন। তামিম করেন ১৬ রান। মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৫* রানে। অর্থাৎ মিরাজ ছাড়া বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন।
টাইগারদের হারাতে হলে রেকর্ড করতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৩৩১ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই বিশ্বকাপে। টাইগারদের দাপটে সেই রেকর্ড গড়া হল না প্রোটিয়াদের। হেরেছে ২১ রানে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩০৯ রান করতে পেরেছে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ৩ নম্বর দলটি।
বল হাতে প্রোটিয়া-বধের নেতৃত্ব দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁ-হাতি এই পেসার ৬৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে সাকিব এক উইকেট নিলেও এই ম্যাচটি ছিল তার রেকর্ডময়। ব্যাট হাতে আজকের ম্যাচে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে গড়লেন ১১ হাজার আন্তর্জাতিক রান (তিন সংস্করণ মিলিয়ে) করার কীর্তি। আর বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে বিশ্বের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে অসামান্য এক ডাবলস্পর্শ করলেন এই অল রাউন্ডার। হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৬২ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। তবে শেষ দিকে বাংলাদেশের জন্য হুমকীর হয়ে উঠছিলেন রাসি ভ্যান ডার দুসেন ও জেপি ডুমনি। দুসেনকে (৩৮ বলে ৪১) সাইফউদ্দীন ও ডুমিনিকে (৩৭ বলে ৪৫) ফেরান মোস্তাফিজ। তাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বাংলাদেশের হাতে। এর আগে অবশ্য অ্যাইডেন মার্করাম ৪৫ রান করেন। এই ওপেনারকেই নিজের আড়াইশতম শিকারের পরিণত করেন সাকিব। এছাড়া ডেভিড মিলার ৩৮ রান করেন।