বৈশাখী টেলিভিশনের মালিক ডেসটিনি
১ min readবৈশাখী টেলিভিশনের মালিকানা নিয়ে এর সাবেক পরিচালক এমএনএইচ বুলুর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে, টেলিভিশনটির মালিকানা ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের কাছেই থাকছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম। ১৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দেন। আদালতে আজ বৈশাখী টিভির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম।
ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড ২০০৮ সালে বৈশাখী টিভির শেয়ার কেনে। এরপর টিভির সাবেক পরিচালক এমএনএইচ বুলু তার শেয়ার বিক্রি ও হস্তান্তর করেন ডেসটিনির কাছে। কিন্তু এরপর একপর্যায়ে তিনি হাইকোর্টে কোম্পানি আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি দাবি করেন, আইনত তার শেয়ার হস্তান্তর হয়নি। তাই মালিকানায় তারও অধিকার রয়েছে। ওই দুটি মামলায় হাইকোর্ট এমএনএইচ বুলুর পক্ষে রায় দেন।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় আসে ডেসটিনির পক্ষে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে বুলুর রিভিউ আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে আজ তা নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগের বেঞ্চ।
এর আগে, ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বৈশাখী টেলিভিশনের মালিকানা ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের আপিল মঞ্জুর করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালত বলেন, শেয়ার হস্তান্তর সঠিক হয়নি এই দাবি করে হাইকোর্টে এমএনএইচ বুলু যে আবেদন করেছিলেন তা আইনের দৃষ্টিতে অচল। এ ধরনের আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ন্যূনতম এক-দশমাংশ শেয়ারের মালিক হতে হয়। অথচ বুলু যখন দরখাস্ত করেন তার কোনো শেয়ার ছিল না। ফলে, তার আবেদনটি আইনত রক্ষণীয় নয়।
১৮ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পর মালিকানা প্রশ্নের আর কোনো আইনি প্রক্রিয়া নেই বলে মনে করেন ডেসটিনির আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈনুল ইসলাম।