এপ্রিল ২০, ২০২৪ ২:৪৩ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

‘জীবন শঙ্কায়’ ওবায়দুল কাদের

১ min read

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সৈয়দ আলী আহসান জানিয়েছেন, ‘জীবন শঙ্কায়’ রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে বিএসএমএমইউ’র কার্ডিওলজি বিভাগের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি শহিদুল্লাহ শিকদারও উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের জীবন শঙ্কায় কি না -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভেন্টিলেশনে আছেন, সেহেতু জীবন শঙ্কায় বলতে পারেন।’

ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হবে কি না -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ওবায়দুল কাদেরের যে শারীরিক অবস্থা তাতে আমি বলব, এই মুহূর্তে ওনাকে (ওবায়দুল কাদের) সিঙ্গাপুর পাঠানো যাচ্ছে না।’

সৈয়দ আলী আহসান বলেন, ‘ওনার (ওবায়দুল কাদের) তিনটি নালীতেই ব্লক ছিল। যেটা ক্রিটিক্যাল ছিল, এলইডি বলে। এলইডিতে ৯৯ শতাংশ.. যেটার জন্য ওনার এই প্রোবলেম হয়েছে, আমরা শুধু সেটিকে সারাই করেছি। কিন্তু সেটা বোধহয় পর্যাপ্ত নয়। সবগুলোই সারানো দরকার, কিন্তু এই মুহূর্তে সারানো যাবে না। সারাতে গেলে আরও বিপদ ঘটবে।’

তিনি বলেন, ‘এলইডি সারানোর পর ওনি অনেক উন্নতির দিকে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, একটু খারাপ হয়, আবার উন্নতি করে। এই পর্যায়ের মধ্যে ওনি আছেন। ওনার জন্য আপনারা দেশবাসী সবাই দোয়া করেন। আমরা সবাই যেন যতটা বেটার ট্রিটমেন্ট সোর্স আছে, সমস্ত সোর্স ইউজ করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা না গেলে বলা যাবে না, ওনি সঙ্কটমুক্ত কি না। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত আছে, বর্তমানে ওনার যেমন চিকিৎসা চলছে এটাই সর্বোচ্চ চিকিৎসা। এটাকে জোর দেয়া এবং আমাদের যত রকম সোর্স আছে সবগুলোকে ইউটিলাইজ করে প্রাণপণ চেষ্টা করা।’

বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভিসি শহিদুল্লাহ শিকদার বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া দু’টি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এক, ওনার শারীরিক অবস্থা। দ্বিতীয়টি হলো, ওনার পরিবার এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিমুহূর্তে ওনার খোঁজ-খবর রাখছেন। কোনো কার্পণ্য করা হবে না, ওনার সর্বোচ্চ চিকিৎসা যেখানেই হবে সেখানেই দেয়া হবে।’

ওবায়দুল কাদেরের কেস স্টাডি সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে কি না -এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, সমস্ত ইনফরমেশন জায়গায় জায়গায় যখন যেখানে প্রয়োজন আমরা পাঠাচ্ছি।’

রোববার (৩ মার্চ) ভোর ৬টায় নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওবায়দুল কাদের। এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়। প্রথমে তাকে আইসিইউ-তে নেয়া হলেও বর্তমানে সিসিইউ-তে রাখা হয়েছে।

হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের পাশে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সোয়া ৪টার দিকে তিনি বেরিয়ে যান।

৪টা ২৫ মিনিটে হাসপাতালে আসেন রাষ্ট্রপতি। এখনও তিনি হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!