‘বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বে অনন্য’
১ min readস্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দশম জাতীয় সংসদ ছিল অনন্য।
মঙ্গলবার ঢাকার মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ‘পার্লামেন্ট: রোল, ফাংশন অ্যান্ড পার্লামেন্টারি প্র্যাকটিসেস ইন দ্য কনটেক্সট অব পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক সেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
বক্তব্য শেষে প্রশ্নপর্ব সেশনে স্পিকার অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ডিএসসিএসসি কোর্সে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ১৭০ জনসহ বিশ্বের ১৯টি দেশের ৪৫ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। এ সময় ডিএসসিএসসির কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ, ডেপুটি কমান্ড্যান্ট কমোডর এম. রাশেদ আলী, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস. এম মাহবুব উল আলমসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বে অনন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ১৯৭২ সালে জাতিকে এই সংবিধান উপহার দেন। কোনো অনুকম্পা কিংবা সমঝোতা নয়- রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান। ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ ও গৌরবময় সংবিধান।
স্পিকার সংবিধানের আলোকে সংসদীয় গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, শোষণ-বৈষম্যহীন আইনের শাসন, সংসদীয় চর্চা ও রীতিনীতির ওপর বিশদ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, দেশের সর্বময় ক্ষমতার মালিক জনগণ, আর সংসদ হচ্ছে সেই ক্ষমতার প্রতীক। সংসদের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় সংবিধান, কার্যপ্রণালী বিধি ও সংসদীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে। সংসদের মূল কাজ আইন প্রণয়ন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ- নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগ। প্রত্যেকটি বিভাগ সংবিধানের আওতায় নিজ সীমারেখায় সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করে থাকে। প্রতিটি বিভাগের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র সচল থাকে। এই তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় এবং সুসম্পর্ক বজায় থাকলে রাষ্ট্র স্বাভাবিক গতিতে চলে।