এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৩:২৮ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে অনুমতি লাগবে, আইন পাস

১ min read

সরকারি কর্মচারীরা ফৌজদারি অপরাধ করলে তাদের গ্রেফতারের আগে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বিধান রেখে সংসদে আইন পাস হয়েছে। ২৪ অক্টোবর বুধবার সংসদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ নামে বিলটি উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ইসমাত আরা সাদেক প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এই আইনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে জনবল নিয়োগ হবে মেধা ও উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে। তবে সংবিধানের উদ্দেশ্য পূরণ করতে সরকার ‘পদ সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

আইনে সরকারি কর্মচারীদের ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনের দায়ে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।

পাস হওয়া বিলের একাদশ অধ্যায়ের সরকারি কর্মচারী ফৌজদারি অপরাধ শীর্ষক ৪১ ধারার উপধারা (১)-এ বলা হয়েছে ‘কোন সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়ের করাকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’

তবে ১৯৬৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী, দুদক অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়েও যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ৫ ধারায়ও এ বিধান বলবৎ রাখা হয়েছে। কিন্তু নতুন আইনটি কার্যকর হলে ওই সব বিধান কর্মচারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

বিলের উপর আনা জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্যরা ওই বিধানের সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ফৌজদারি অপরাধের জন্য মন্ত্রী-এমপিদের গ্রেফতারের অনুমতি লাগে না। কিন্তু তাদের অধীনে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। এটা বৈষম্যমূলক।

বিলের একই ধারার ৩ উপধারায় বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি সরকারি কর্মচারী বলে দৃষ্টিগোচর হলে তা সরকার ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়, জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে কর্মচারীদের মধ্যে পারস্পারিক জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। কোনো পদে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে সুষ্পষ্ট বিধান না থাকলে বা জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ সম্ভব না হলে কর্তৃপক্ষ যা উপযুক্ত মনে করবে, তার ভিত্তিতেই জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করতে পারবে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কাউকে আত্মীকরণ করা যাবে না।

বিলের দশম অধ্যায়ের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, লঘুদণ্ড হিসেবে তিরস্কার, নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য পদোন্নতি বা বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা, বেতন স্কেল নিম্নধাপে অবনমিতকরণ করা হবে। গুরুদণ্ড হিসেবে নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনতিমকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, চাকরি থেকে অপসারণ এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।

এ ছাড়া কোনো কর্মচারীর ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে সরকারি অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হলে দায়ী ব্যক্তির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। প্রয়োজনে তার বেতন ভাতা থেকে আদায় করা হবে। তাতেও সম্ভব না হলে কর্মচারীর বিরুদ্ধে পাবলিক ডিমান্ড রিকোভারি অ্যাক্ট ১৯১৩ এর অধীন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিলে কোনো কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ রক্ষার্থে শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনি সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ পাবেন।

বিলে আরও বলা হয়েছে, চাকরি বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হলে, যে কোনো কর্মচারী অবসরে যাওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করতে পারবেন। একবার লিখিত আবেদন করলেই তা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে এবং কোনভাবে তা আর সংশোধন করা হবে না।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!