মার্চ ২৯, ২০২৪ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

‘ট্রাফিক নিয়ম ‍স্কুল থেকেই শেখানো উচিত’

১ min read

পথচারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ড্রাইভারের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কিন্তু যত্রতত্র রাস্তা পার হওয়াদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা থামবে। তাছাড়া এটি থামবে না। ট্রাফিক নিয়মটা ‍স্কুল থেকেই আস্তে আস্তে শেখানো উচিত।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ নূরে হাসনাত লিলি চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে
প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সড়কে দুঘর্টনা রোধ করার জন্য আমরা যতই পদক্ষেপ নেই না কেন, আমাদের দেশের মানুষের অদ্ভুত মানসিককতা। তারা রাস্তা পারাপারের সময় হাত দেখায়। কিন্তু চলমান যানবাহন এই হাত দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে থেমে যেতে পারে না। আমরা কি দেখি, ছোট্ট শিশুর হাত ধরে মা রাস্তা পার হচ্ছেন অথবা বাবা বাচ্চাদের নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। রাস্তায় অনবরত গাড়ি আসছে অথচ খুব কাছেই ফ্লাইওভার থাকলেও এভাবে পার হচ্ছেন। এমনকি যুব ছেলেমেয়েরাও একাজ করছেন। ফ্লাইওভার দিয়ে পার না হয়ে দৌঁড় দিয়ে রাস্তা পার হতে চায়। তার ফলে এক্সিডেন্ট হয়। আর এক্সিডেন্ট হলে যারা রাস্তা পার হচ্ছেন তাদের দোষ কতটুকু আর ড্রাইভারের দোষ কতটুকু সেটাও বিবেচ্য বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় আমি দেশবাসীকে বলব সেটা হল, কোন একটি এক্সিডেন্ট হলে ড্রাইভার নিজের জীবন বাঁচাতে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফলে যার বাঁচার সম্ভাবনা সে আর বাঁচে না। ড্রাইভার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কারণ, যে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল তাকে সাহায্য করার চেয়েও জনতা বেশি আগ্রহী হয়ে যায় ড্রাইভারকে টেনে নামিয়ে কীভাবে মারধর করা যায় এবং মারতে মারতে এমনও হয় যে, মেরেই ফেলে। আইন কারো হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। ধরে পুলিশে দেবে কিন্তু কেউ মারধর করতে পারবে না। এই মারধর যদি বন্ধ হয় তাহলে অনেক এক্সিডেন্টে  মানুষের বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি হল বাস্তবতা। আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে রাস্তা পারাপারের সময় সকলেরই ট্রাফিক আইন মেনে চলা উচিত।’

শিশু আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতবড় একটি ঘটনা ঘটল, আন্দোলন হল তারপরও আমরা দেখি মানুষের মধ্যে সেই সচেতনতা নেই। তারা যত্রতত্র রাস্তা পার হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ছবির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, এক বাবা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে এমনভাবে রাস্তা পার হচ্ছিলেন যে, বাবার পা একটু পিছলে গেলেই ফেন্সের কাঁটাতারের সরু মাথা তার শরীরে গেঁথে যাবে। কেউ রাস্তা পার হতে একটা মিনিট সময় নেবে না অথবা ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবে না। এই বিষয়টিও সবার দেখা দরকার।’

রাস্তা পারাপারে সব ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের একটু সচেতন হওয়া উচিত। ছোট শিশুকে নিয়ে হঠাৎ দৌঁড় দিয়ে রাস্তা পার হওয়া বা দুটি বাস দাঁড়িয়ে আছে তার ফাঁক দিয়ে বেরুনোর চেষ্টা করা- এসব ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। গাড়িতে বসে মাথা বা হাত বের করে রাখা হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে- সে ব্যাপারেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!