এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ১১:৪২ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

শূন্য সংসদীয় আসনে সহসাই হচ্ছে না নির্বাচন

১ min read

শূন্য হওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনে সহসাই হচ্ছে না নির্বাচন। প্রায় ছয় মাস এসব সংসদীয় আসন শূন্য থাকছে। আসনগুলোতে ৯০ দিন বা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন না করে মহামারি করোনার কারণে আরও ৯০ দিন বা তিন মাস সময় নেয়া হচ্ছে। এ কারণে দীর্ঘ সময় জনপ্রতিনিধিহীন থাকছে এসব আসন।

ইসি সূত্র মতে, মৃত্যুজনিত বা অন্য কোনো কারণে সংসদীয় আসন শূন্য হলে দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হয়। কিন্তু এখন এর ব্যতিক্রম হচ্ছে। দেশে করোনা সংক্রমণের কারণে দ্বিতীয় ৯০ দিন পরও নির্বাচন করা যায় কিনা সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতির মতামত চেয়েছিল ইসি।

তবে ইসিকে সংবিধান মেনে নির্বাচন করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর বাধ্য হয়ে শেষ প্রান্তে এসে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অন্য শূন্য সংসদীয় আসনগুলোতেও শেষ সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফা অনুযায়ী সংসদ ভেঙে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

তবে কোনো দৈবদুর্বিপাকের কারণে ইসি উক্ত নির্বাচন করতে আরও ৯০ দিন সময় পাবে। এ কারণে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তারা আরও ৯০ দিন সময় নেবে। সোমবার (২৭ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানান।

পাবনা-৪, ঢাকা-৫, সিরাজগঞ্জ-১ এবং ঢাকা-১৮ আসন শূন্য হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এজন্য গত ২০ জুলাই কমিশন সভায় আগস্টের শেষ সপ্তাহে পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময় তফসিল হলে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

পাবনা-৪ ও ঢাকা-৫ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ৯০ দিনের সময়সীমা যথাক্রমে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১ নভেম্বর। সিরাজগঞ্জ-১ আসনের জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর এবং ঢাকা-১৮ আসনের জন্য ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাবে ইসি। নওগাঁ-৬ আসনের আওয়ামী লীগের ইসরাফিল আলম ২৭ জুলাই মারা যাওয়ায় করোনার কারণে আসনটি আরও ছয় মাস শূন্য থাকতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে কমিশন সময় নিচ্ছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে নির্বাচন আগেও হতে পারে। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ভোট পেছানো হচ্ছে। তবে সব কিছু হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ মারা যাওয়ায় পাবনা-৪ (আটঘরিয়া-ঈশ্বরদী) আসন শূন্য হয়। ২ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ৬ মে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ (ডেমরা-দনিয়া-মাতুয়াইল) শূন্য হয়। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ১৩ জুন মারা যাওয়ায় সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনটি শূন্য হয়। অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ১০ জুলাই মারা যাওয়ায় ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসনটি শূন্য হয়। নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম (৫৪) ২৭ জুলাই মারা গেলেও অফিসিয়ালি মঙ্গলবারও (২৮ জুলাই) আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়নি।

-তুহিন নিজাম

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!