মার্চ ২৮, ২০২৪ ৩:৩৮ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

আদালতের রায় বাংলায় লিখতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

১ min read

আদালতের রায় বাংলায় লিখতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি বলবো আদালতের রায়টা যদি কেউ ইংরেজিতেও লিখতে চায়, লিখতে পারেন। কিন্তু, একটা শর্ত থাকবে, এটা বাংলা ভাষাতেও প্রকাশ করতে হবে। যিনি রায় পাবেন, তিনি যেন পড়ে জানতে পারেন। আর ইংরেজিও রোমান স্টাইলে না লিখে একটু সহজ ইংরেজিতে লেখা, অন্তত যে ভাষাটা সবাই বুঝতে পারেন, সে ভাষা লেখা উচিত। আর বাংলায় রায় লিখে ইংরেজিতে ভাষান্তর করে দিতে পারেন।’

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অমর একুশে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের যারা আদালতে আছেন, তারা যদি মাতৃভাষায় লেখার অভ্যাসটা করেন, সেটা অন্তত স্বল্পশিক্ষিত যারা তাদের জন্য সুবিধা হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর ইংরেজি যে রায়টা দেওয়া হয়, সেই রায়ে কি বললো তা জানতে নির্ভর করতে হয় আইনজীবীর ওপর। তিনি (আইনজীবী) যা বুঝিয়ে দেবেন, সেটাই বুঝতে হবে, নিজে পড়ে জানার কোনও সুযোগ থাকে না। অনেক সময়ই তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। অথবা তাদের অন্যভাবে ব্যবহারও করা হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন না হয় আমরা শিক্ষার হার বাড়িয়েছি। কিন্তু, ৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন অক্ষর জ্ঞানসম্পন্নই ছিল মাত্র ৪৫ ভাগ। অধিকাংশ মানুষ বাংলা ভাষাতেও লেখাপড়া জানতো না।’

মাতৃভাষা ভালোভাবে শেখা ও চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাতৃভাষায় শিক্ষা, মাতৃভাষা জানা, এটা অপরিহার্য। আজকে বিশ্ব- গ্লোবাল ভিলেজ। আমাদের ভাষাগতভাবে যোগাযোগটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পৃথিবীর সব দেশে কিন্তু নিজের ভাষা শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে একটা দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষা নেয়। কাজেই দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে অন্য ভাষা শিক্ষার সুযোগ কিন্তু আমাদের দেশে আছে। ইতোমধ্য ৯টি ভাষা দিয়ে একটি অ্যাপস তৈরি করে দিয়েছি আমরা। এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইংরেজি একটা মাধ্যম হয়ে গেছে সারা বিশ্বে। কাজেই আমাদের দেশে এটা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিখতে পারে। বাংলা ভাষা, মাতৃভাষা, যে ভাষার জন্য আমরা জীবন দিয়েছি, সেই ভাষাটাও সবাই যাতে ভালোভাবে শেখে সেই ব্যবস্থাটাও করা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রী শুদ্ধ বাংলা ভাষা চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একেক অঞ্চলে একেক ধরনের কথা বলি। এতে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা অফিসিয়াল একটা ভাষা ব্যবহার করি। যে ভাষাটা প্রমিত বাংলা, ইতোমধ্যে আমাদের বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে। সেজন্য বাংলা একাডেমিকেও ধন্যবাদ জানাই। তবে, আমরা যারা আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করি, সেটাকে একেবারে বাদ দেওয়া ঠিক না। বাদ দিলে আমাদের নিজেদের অস্তিত্বই থাকে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একুশ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই একুশের আন্দোলন থেকে শুরু করে আমরা একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।’

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!