বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি: তদন্তভার পেলো কাউন্টার টেরোরিজম
১ min read
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে আসামি করে দায়ের করা মামলাটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষায়িত বিভাগ কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে মামলাটি হস্তান্তর করা হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিটি ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে জঙ্গি দমনে ডিএমপির বিশেষায়িত একমাত্র ইউনিট সিটি। তাদেরকে কেন এ ধরনের ভিন্নধর্মী মামলার তদন্তভার দেয়া হল? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিসি মাসুদুর রহমান বলেন, সিটি ইউনিট ইতোমধ্যে কয়েকটি আলোচিত মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মামলা তদন্তে দক্ষ অনেক অফিসার আছে সিটিতে। তাই তাদেরকেই এই মামলা তদন্তের দায়ভার তাদের দেয়া হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে যায় বিমান। ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিমান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী বিমান বাংলদেশের ৩ প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুত্ফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন এবং টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।