বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
১ min read
বিনিয়োগ ও বিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়ন
বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বিনিয়োগ ও বিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়নসহ বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
১০ আগস্ট, শুক্রবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বলে এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।
সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং নেপালের পক্ষে সে দেশের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচবিষয়ক মন্ত্রী বার্সমান পুন অনন্ত স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সরকার ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে। ভারত থেকে ইতোমধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে এবং আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত।’
নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশ নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়। এতে উভয় দেশ উপকৃত হবে।’
নসরুল হামিদ আরও বলেন, ‘এই স্মারক বিদ্যুৎ খাতের জন্য একটি প্লাটফর্ম বা কাঠামো তৈরি করবে, যা বিদ্যুৎ বিনিময়, বিদ্যুৎ বাণিজ্য, গ্রিড সংযোগ, জলবিদ্যুৎ উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।
সহযোগিতাটি উভয় দেশকে লাভবান করবে এবং বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে উভয় দেশের জনগণ ও বেসরকারি সংস্থাকে উৎসাহিত করবে।’
অনুষ্ঠানে নেপাল থেকে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানি, যৌথ বিনিয়োগে নেপালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ আমদানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে সোলার হোম সিস্টেম প্রসারে নেপালকে বাংলাদেশের সহযোগিতা, নেপালের আপার কারনালি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে পাঁচশ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি ইত্যাদি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচবিষয়ক সচিব অনুপ কুমার উপাধ্যায়, নেপালের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগের মহাপরিচালক নবিন রাজ সিং, নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমান ঘিসিং, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব ফায়েজুল আমীন এবং আইপিপি সেলের পরিচালক মাহবুবুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।