প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনারা মাঠে কাজ করেন, মাঠের অবস্থা ভালো বোঝেন। দেশের উন্নয়নে ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে আরও কী করতে হবে, সেসব বিষয়ে সুপারিশ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়নের যে ধারা সূচিত হয়েছে তা যেন অব্যাহত থাকে। আমরা বীরের জাতি। যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি। ফলে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে ‘নিম্ন’ শব্দটি বাদ দেব। এ শব্দটি আমাদের সঙ্গে থাকতে পারে না।’
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকদের তিনদিনব্যাপী সম্মেলন-২০১৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। এছাড়া রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর উর রহমান, জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে জিয়া উদ্দিন আহমেদ (চুয়াডাঙ্গা), বেগম শায়লা ফারজানা (মুন্সিগঞ্জ) ও নওগাঁর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সম্মেলনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় জেলা প্রশাসকদের কর্মকাণ্ডের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এবার ৭ দশমিক ৭৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এটাও ধরে রাখতে হবে। কারণ, প্রবৃদ্ধি বেশি থাকলে জনগণ তার সুফল পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘২ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকার বেশি রাখা হয়েছে উন্নয়ন বাজেটে। এই বরাদ্দ কার্যকর হচ্ছে কি না, তা আপনাদের সঠিকভাবে তদারকি করতে হবে। ২০২১ সালে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চাই। ২০৪১ সালে আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই, সেজন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ বিষয়ে আপনাদের যদি কোনো মতামত বা প্রস্তাব থাকে, তা পেশ করবেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা বেশি কেন, তার কারণ খুঁজে বের করবেন। ছেলেরা কি বেশি ঝরে পড়ছে, নাকি স্কুলে আসে না, তার কারণ খুঁজে বের করবেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে সরকার ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও, সংস্থা ‘মিট দ্য মিল’ (টিফিন) এর অায়োজন করে। যেখানে এসব আয়োজন নেই, সেখানে জেলা প্রশাসকরা ফান্ড তৈরি করবেন। ওই ফান্ডে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে আমরা সহযোগিতা করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে প্রতিটি জেলা আমরা ভিক্ষুক মুক্ত করতে চাই। সে জন্য স্ব স্ব জেলার ডিসিদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি। কোন কোন জেলায় কী কাঁচামাল পাওয়া যায়, সে হিসেবে সে জায়গাকে গুরুত্ব দেয়া হবে।’
আরো পড়ুন
‘বিদ্রোহী’ কবিতাকে ইউনেস্কোর হেরিটেজে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ
সৃজিতের সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর; মুখ খুললেন মিথিলা
রাষ্ট্রদূতরা শর্তসাপেক্ষে পুলিশের এসকর্ট সুবিধা পাবেন