এপ্রিল ২৬, ২০২৪ ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

বিমানে যাতায়াতের সময় সিনেমা দেখি

১ min read

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেছেন, আমিও চলচ্চিত্রের একজন দর্শক। আমারও সিনেমা দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সময় পাই না। সারাদিন মিটিং আর ফাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে বিমানে যাতায়াতের সময় সিনেমা দেখি। ওই একটাই সুযোগ, নিরিবিলি দেখি। এর বাইরে তো সময় পাই না।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিবছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবার সম্মাননার জন্য তৈরি মেডেলের সোনার ক্যারেটও বেড়েছে। নিয়মিতই ১৮ দেয়া হলেও এবার দেয়া হয়েছে ১৯ ক্যারেট।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশেও ভালো ছবি নির্মিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ভালো ছবি হয়েছে। চলচ্চিত্র মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে সমাজে অনেক বক্তব্য পৌঁছানো যায়। দেশ ও সমাজের ভালোর জন্য অনেক ভূমিকা রাখতে পারে চলচ্চিত্র। একটা সময় সিনেমা দেখা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। এখন মানুষ আবারও সিনেমা দেখছে। এটা আনন্দের খবর।

চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে, এমন বিষয় সিনেমায় তুলে ধরা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) ও চলচ্চিত্র শিল্প যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল, শেখ হাসিনা মনে করিয়ে দিলেন সেটা।

তিনি আশ্বাস দিলেন, আমরা যেন বিশ্বমানের চলচ্চিত্র বেশি বেশি বানাতে পারি, সেজন্য যা যা করা দরকার আমার পক্ষ থেকে আমি সবই করবো। সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর মধ্য থেকে সেরা কাজের জন্য ২৫টি বিভাগে মোট ৩১ জন বিজয়ীর হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্রেস্ট, মেডেল ও চেক তুলে দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ ও তথ্যসচিব আবদুল মালেক। এবারের আসরে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা ও ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত অভিনেতা ফারুক। পুরস্কার নিয়ে ফারুক ও ববিতা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী দর্শকসারিতে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠন উপভোগ করেন।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!