পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা আক্রমণ করে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ min read
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় পুলিশের উপর আক্রমণ করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা আক্রমণ করায় মাদক ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন । মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যখনই হাই-প্রোফাইল মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে গেছেন, তারা হয় পালিয়েছেন বা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এই যুদ্ধে যখন লিপ্ত হয়েছে….পুলিশের উপর অ্যাটাক করলে কাউন্টার অ্যাটাক করার আইন আমাদের দেশে আত্মরক্ষার্থে রয়েছে। সেই ঘটনাটি ঘটে। কয়েকদিনে কয়েকটি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তথ্যভিত্তিক, প্রমাণভিত্তিক কাজ করছি। পরিষ্কার কথা কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার- আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা। এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স- সে সংসদ সদস্য হোক, সরকারি কর্মকর্তা হোক, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা হোক, যেই হোক, ইভেন সাংবাদিক হোক কাউকে আমরা ছাড় দেব না।’
বাংলাদেশে প্রায়ই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে থাকলেও গত কয়েকদিনে তা বেড়েছে। আবার গত কয়েকদিনে বন্দুকযুদ্ধে যারা নিহত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই মাদক ব্যবসায়ী।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুমিল্লায় ২, নীলফামারীতে ২, চট্টগ্রামে ১, নেত্রকোনায় ১, দিনাজপুরে ১, নারায়ণগঞ্জে ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগের দিনও বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৯ জনকেও মাদক ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অপরদিকে, এ বন্দুকযুদ্ধের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখেছে বিএনপি। মঙ্গলবার নয়পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আসলে মাদক নির্মূলের নামে বিচারবর্হিভূত হত্যার যে হিড়িক চলছে এর গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হচ্ছে মাদকবিরোধীদের নির্মূল করতে গিয়ে টার্গেট করে বিরোধীদলের তরুণ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে মেরে ফেলা। গতরাতে নেত্রকোনায় কথিত ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে ছাত্রদলের সদস্য আমজাদ হোসেনকে।