আমরাও স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য
১ min read
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ আমরাও স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হলাম। প্রবেশ করলাম এক নতুন যুগে। এখন মহাকাশে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন হবে।’
১১ মে, শুক্রবার দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের লঞ্চিং স্টেশন থেকে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণের পরপরই জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং নির্যাতিত মা-বোনদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃত হবে। তিনি অনুধাবন করেছিলেন বহির্বিশ্বের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারলে অগ্রগতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। এ জন্য স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরের মাথায় ১৯৭৪ সালে তিনি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় প্রথম উপগ্রহ ভূকেন্দ্র স্থাপন করেন, যার সাহায্যে তথ্য-উপাত্ত আদান প্রদানের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি হয়।
আজ আমরা জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরেক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি নিজস্ব উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে। তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে আজ যুক্ত হতে যাচ্ছে স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ।’
বাংলাদেশের স্যাটেলাইট দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো ছাড়াও এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে সেবা প্রদান করা যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই স্যাটেলাইট দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাকস্তান এবং উজবেকিস্তানের অংশ বিশেষে সেবা প্রদান সম্ভব হবে।’
দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ওই সময় স্যাটেলাইটটিকে নিয়ে মহাকাশের পথে ছুটে যায় উৎক্ষেপণ যান ফ্যালকন ৯। উৎক্ষেপণের আধ ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কাঙ্ক্ষিত জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটে পৌঁছায়।