একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে ফিরিয়ে নিল মিয়ানমার। দেশটির রাষ্ট্রীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১৪ এপ্রিল, শনিবার বাংলাদেশ সীমান্তের একটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ৫ সদস্যের এক রোহিঙ্গা পরিবার পশ্চিমাঞ্চল রাখাইন রাজ্যে ফিরে গেছে। খবর ইউএনবি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী দুই বছরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একমত হয় ঢাকা-নেপিদো।
এই চুক্তির অংশ হিসেবেই পরিবারটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্য রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য এখনো নিরাপদ নয়।
জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল উরসুলা মুয়েলার রাখাইনে ৬ দিনের সফর শেষে সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতূলতা, নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে এখানে। আর এমন পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার জন্য সহায়ক নয়। ভবিষ্যতেও প্রত্যাবাসন সম্ভব কিনা, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
মিয়ানমারের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার চলমান প্রক্রিয়ায় তাদের নিবন্ধনের অংশ হিসেবে ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড (এনভিসি) দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মিয়ানমার। তবে এই কার্ডকে নাগরিকত্ব কার্ড নয় বলে বলছে রোহিঙ্গারা।
সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিরিয়ে নেওয়া পরিবারটিকে মংডু শহরে তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে অস্থায়ী আবাসনে পাঠানো হয়েছে। তবে ভবিষ্যত প্রত্যাবর্তন কবে শুরু হবে, কতদিন লাগবে সে বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রত্যাবাসনের জন্য যাচাই-বাছাই শেষে ওই পরিবারকে মিয়ানমারে প্রবেশের আগেই এনভিসি কার্ড দেওয়া হয়েছিল।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্লিয়ারেন্স অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে।
আরো পড়ুন
স্বাধীনতা দিবস আজ
বাংলাদেশে রমাদান শুরু হবে ২৪ মার্চ
অ্যামোলেড ডিসপ্লের স্মার্টফোন কেন সেরা?