‘জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত’
১ min read
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মোহাম্মদ নুরুল হুদা।
৮ এপ্রিল, রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই মন্তব্য করেন সিইসি। খবর ইউএনবির।
সিইসি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে না, এটা বলিনি। আগের নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হয়েছিল, এবারও হওয়া উচিত। তবে নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’
এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন: সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে ইডব্লিউজির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল আউয়াল সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ ফারুক খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
ইডব্লিউজির পরিচালক ড. মো. আবদুল আলীমসেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল মোমেন চৌধুরী ও নাসিম ফেরদৌস আলোচনায় অংশ নেন।
সিইসি বলেন, ‘প্রবাসী, কারাগারে অন্তরীণ কয়েদি, সরকারি কাজে দূরে অবস্থানকারী এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত ১০ থেকে ১২ লাখ নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত থাকেন। এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে ইসি কাজ করছে।’
প্রতিবন্ধী ও বয়স্করা তাদের ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে যে কাউকে দিয়ে প্রক্সি দিতে পারবেন বলেও উল্লেখ করেন নুরুল হুদা। নিবন্ধিত সব দলের অংশগ্রহণে এবারের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন ও সিভিল সোসাইটির একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মোহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে। এ ব্যাপারে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে কি, হবে না, সেটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। কীভাবে মোতায়েন হবে, সেটাও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এটা নিয়ে কেউ বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না।’
প্রবাসীদের পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটাধিকার দেওয়ার দাবি করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী সারা বিশ্বে শান্তি রক্ষায় কাজ করছে। আমাদের দেশেও নির্বাচনে এদের কাজে লাগানো যেতে পারে।’