সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ ১২:০৬ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

ভূমি উন্নয়ন কর ও বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি বিল পাস

১ min read

জাতীয় সংসদে ভূমি উন্নয়ন কর বিল-২০২৩ ও বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি বিল-২০২৩ পাস হয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ভূমি উন্নয়ন কর বিল-২০২৩ উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি বিল-২০২৩ উত্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিল দুটির ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাদের সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর স্পিকারের আসনে থাকা ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সংশোধনী প্রস্তাবগুলো ভোটে নিষ্পত্তি করেন। পরে কণ্ঠভোটে বিল দুটি পাস হয়।

কৃষি জমির ২৫ বিঘা পর্যন্ত উন্নয়ন কর মওকুফ

কৃষি জমির ২৫ বিঘা পর্যন্ত উন্নয়ন কর মওকুফ করার বিধান রেখে এবং ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন-২০২৩’ পাস হয়েছে। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৫ বিঘা পর্যন্ত কৃষি জমির উন্নয়ন কর মওকুফের বিধান রাখা হয়েছে। তবে ২৫ বিঘার বেশি জমির মালিক হলে পুরোটারই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। বাংলা সনের পরিবর্তে ইংরেজি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ওই কর আদায় করা হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায়ের লক্ষ্যে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সর্বসাধারণ উপকৃত হবে এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। তবে প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিশেষ সময়ে (মহামারি, দুর্বিপাক ইত্যাদি) ভূমি উন্নয়ন কর কমানোর সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন আইনে। এছাড়া বিলের বিধান অনুযায়ী কোনো ভূমির মালিক টানা তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর না দিলে তাকে প্রথম বছর থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত সোয়া ৬ শতাংশ হারে জরিমানাসহ কর পরিশোধ করতে হবে। কেনাকাটায় স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা আনতে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি বিল পাস করা হয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সরকারি তহবিলের অর্থ দিয়ে সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে, কেনাকাটা প্রক্রিয়া টেকসই ও সহজিকরণ এবং কেনাকাটা কার্যক্রমে অংশ নিতে ইচ্ছুক সব ব্যক্তির প্রতি সমআচরণ ও অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য বিলটি পাস করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং এতদুদ্দেশ্যে সরকারি কেনাকাটা ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়ানো ও পেশাদারিত্ব সৃষ্টির জন্য একটি অথরিটি প্রতিষ্ঠা এবং এতদসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি বিল-২০২৩ সংসদে আনা হয়েছে, এটি পাস করা প্রয়োজন। বিলটির ওপর বিরোধীদের আপত্তি ভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে মন্ত্রী এম এ মান্নান বিলটি পাসের জন্য তুলতেই তা ভোটে দেন ডেপুটি স্পিকার, যা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!