জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ আগামী রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আাপিল বিভাগ।
এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়েছে।
১৪ মার্চ, মঙ্গলবার সকালে খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মাদ আলী, জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ১২ মার্চ হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে জামিন দেন। সে জামিন অাদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ। ১৩ মার্চ দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি করে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশে নো অর্ডার দেন। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখা হয় এবং ১৪ মার্চ মঙ্গলবার মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া এই মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়। পাশাপশি নিম্ন আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে পাঠাতে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।
আরো পড়ুন
আগামী নির্বাচনটা একটা চ্যালেঞ্জ : প্রধানমন্ত্রী
ভিসা পাননি ৪৪ হাজার হজযাত্রী
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি আহত