এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৭:১২ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

রাজধানীর অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

১ min read

ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে রাজধানীর অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে। ঈদের আগে মাত্র একটি সরকারি ছুটির দিন থাকায় শুক্রবার (১ জুলাই) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকেটায় বেরিয়ে পড়েন অধিকাংশ রাজধানীবাসী। অন্যদিকে শুক্রবার থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে সব মার্কেট। ফলে যারা এর আগে ঈদের কেনাকাটা করার সময় পাননি, তারা এখন ভিড় করছেন।

যমুনা ফিউচার পার্ক ও গুলশানের কয়েকটি অভিজাত মার্কেটে প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ক্রেতাদের টানতে অভিজাত ব্র্যান্ড হাউজগুলো কেনাকাটায় ঈদের ছাড় দিয়েছে। বেশিরভাগ ব্র্যান্ড হাউজ ১০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে। বিশেষ করে জুমার নামাজের পর থেকে এসব শপিং কমপ্লেক্সে ক্রেতা বাড়তে দেখা যায়। বিকেলে শুরু হয় জমজমাট কেনাকাটা।

যমুনা ফিউচার পার্কে ঢুকতেই ইনফিনিটি শোরুমে প্রচুর মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। নির্দিষ্ট কিছু ডিজাইনের পোশাকের ওপর ৫০% পর্যন্ত ছাড় দিয়েছে ব্র্যান্ডটি।

সেখানে কেনাকাটা করতে আসা হাসান বলেন, আজকের পর আর কেনাকাটা করার সুযোগ নেই। আগামী শুক্রবার কোরবানির গরু কিনতে হবে। তাই সপরিবারে আজই মার্কেটে চলে আসলাম। আর ছাড়ের কারণে এখানে সাধ্যের মধ্যে কোনো পণ্য আছে কী না দেখছি।

মিরাজ নামের এক ক্রেতা বলেন, দুদিন পরে গ্রামের বাড়ি যাব। কিন্তু এর আগে কিছুই কিনতে পারিনি, কারণ রাত ৮টার পর সব বিপণিবিতান বন্ধ হয়ে যেত। অফিস থেকে বের হতেই ওই সময় পেরিয়ে যেত।

লিপি নামের এক ক্রেতা বলেন, আজ আর আগামীকালের (শনিবার) মধ্যে কেনাকাটা শেষ করতে হবে। এজন্য ছুটির দুদিন অন্য কোনো কাজ রাখিনি। সারাদিন মার্কেটেই কাটছে।

আড়ং শোরুমের ইনচার্জ ফারুক বলেন, এ ঈদে খুব বেশি কেনাবেচা হয় না। তবে যা হচ্ছে তার মধ্যে আজই ক্রেতাদের ভিড় বেশি।

রঙ বাংলাদেশের অপারেশন ম্যানেজার কামরুল বলেন, দুপুরের পর থেকে প্রচুর ক্রেতা শোরুমে আসছেন। তবে ভিড় যে পরিমাণ হচ্ছে, সে পরিমাণ কেনাবেচা হচ্ছে না।

গুলশান পুলিশ প্লাজায় ঢুকতে ক্রেতাদের ছোটখাট লাইন চোখে পড়ে। চলন্ত সিঁড়িগুলোতেও উপচে পড়া ভিড়, লিফটের মুখেও জটলা। পোশাকের দোকানগুলোতেও বেশ ভিড়। এক মার্কেট থেকে অন্যটিতে গেলে ভিড় বেশি ছাড়া কম দেখা যায়নি।

পুলিশ প্লাজা মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল আলম বলেন, সকাল থেকে প্রচুর ক্রেতা আসছেন। আজ-কাল বিক্রি ভালোই হবে।

ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, রুচির পরিবর্তন ও মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হওয়ায় অভিজাত পণ্যে ঝুঁকছে শহরের মানুষ। অভিজাত কাপড়ের দোকনগুলোতে সারা বছর যে পরিমাণ কেনাবেচা হয়, দুই ঈদে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!