সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন: থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশ-বিজিবি
১ min readকরোনাভাইরাস সংক্রমণ (কোভিড-১৯) রোধে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সাতদিন অর্থাৎ ৪ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে।
এ লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি। লকডাউন চলাকালে বিশেষ কয়েকটি কারণে এবং পুলিশের দেয়া মুভমেন্ট পাস ছাড়া এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া যাবে না।
শুক্রবার (২৫ জুন) রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কালকে আমরা এ বিষয়ে (কঠোর লকডাউন) প্রজ্ঞাপন দেব। ২৮ জুন থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। পরে প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। এটা যাতে সবাই কঠোরভাবে প্রতিপালন করে সেজন্য বেশ কড়াকড়ি থাকবে। সেজন্য পুলিশ থাকবে, বিজিবি থাকবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে ১৪ দিনের পূর্ণ শাটডাউন দেয়ার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। যদিও এর আগে থেকে বিধিনিষেধ জারি ছিল, যেটির মেয়াদ রয়েছে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত।
এর মধ্যে অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতিতে সীমান্তের জেলাগুলোতে লকডাউন দেয়া হচ্ছিল। সর্বশেষ ২২ জুন থেকে ঢাকার আশপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ-এই সাত জেলায় কঠোর লকডাউন (বিধিনিষেধ) দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় ঢাকার সঙ্গে বাস, লঞ্চ ও রেল যোগাযোগ।
শুক্রবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর আগে ১৯ এপ্রিল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৮৬৯ জন।