মমতাজউদদীন আহমেদ আর নেই
১ min read
একুশে পদক পাওয়া খ্যাতিমান নাট্যকার ও ভাষাসৈনিক অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ০২ জুন, রোববার বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বেশ কয়েক দিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন মমতাজউদদীন। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ দিন আগে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে ছিলেন।
অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক। তিনি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের পথিকৃত। তিনি এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
মমতাজউদদীন ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের পর তার পরিবার তদানীন্তন পূর্ববঙ্গে চলে আসে। তার পিতার নাম কলিমুদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম সখিনা বেগম।
শিল্প ও সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য মমতাজউদদীন জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৯৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি।
নাট্যকলায় অবদানের জন্য ২০০৮ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও আলাউল সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি কলেজে ৩২ বছর বাংলা ভাষা সাহিত্য এবং বাংলা ও ইউরোপীয় নাট্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন মমতাজউদদীন। তিনি ১৯৭৬-৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়নে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৭-৮০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ছিলেন।
মৃত্যুকালে মমতাজউদদীনের বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। চিকিৎসক ছেলে সেজান মাহমুদ তিতাসসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।