মার্চ ২৯, ২০২৪ ৪:৫৮ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

‘ঢাকা লিট ফেস্ট-২০১৮’ উদ্বোধন

১ min read

উদ্বোধন হয়ে গেলো ‘ঢাকা লিট ফেস্ট-২০১৮’-এর। উদ্বোধন করলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শাস্ত্রীয় সংগীতের মূর্ছনায় কত্থক নৃত্যের তালে শুরু হয় লিট ফেস্টের এই আসর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ, সাদাফ সায্ এবং আহসান আকবার। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিন দিনের এই উৎসব উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

আয়োজকদের দাবি মতে, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সাহিত্যের জোয়ার এ উৎসব। ১৫ দেশের দুই শতাধিক সাহিত্যিক, অভিনেতা, রাজনীতিক, গবেষক এবং বাংলাদেশের প্রায় দেড়শ’ লেখক, অনুবাদক, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদের উপস্থিতি থাকবে এতে।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘স্পিকার, লেখক এবং বিদেশি অতিথিদের শুভেচ্ছা জানাই। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে একটি সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানালে তিনি অগ্রাহ্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি একজন রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিকদের এই মিলনমেলায় আমি কীভাবে যাই।’’ এরপর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করলে তিনি একটি শর্ত দেন। তিনি বলেন, ‘‘সেখানে কবি জসীমউদদীন, চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন ও প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরীকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।’’ বঙ্গবন্ধু ক্রিয়েটিভিটি এবং জ্ঞানের ওপর বিশ্বাস করেন। ঠিক এমনটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তিনি সব সময় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঢাকা লিট ফেস্টের অংশ হতে পেরে গর্বিত। আমি ঢাকা লিট ফেস্টের সাফল্য কামনা করি।’

ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক এবং বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের প্রকাশক কাজী আনিস আহমেদ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে বাকস্বাধীনতা হরণের একটি চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাকা লিট ফেস্ট সবসময় মুক্তচিন্তা এবং বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ঢাকা লিট ফেস্ট বরাবরই নারী, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বাকস্বাধীনতা নিয়ে কথা বলে। সংস্কৃতির প্রতি বাংলাদেশ সরকারের অগণিত সমর্থনের কারণে আমরা অষ্টমবারের মতো এই আয়োজন করতে পারছি। ঢাকা লিট ফেস্টের কেউ কথা বলতে বাধার সম্মুখীন হয় না। এটা একটি মুক্ত জায়গা, খোলামেলা আলোচনা করার জন্য।’

সাদাফ সায্ বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে আমরা বিশ্বের নামিদামি শিল্পীদের বাংলাদেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এই বছর ৯০টিরও বেশি সেশন নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আয়োজন। যেখানে বিশ্বের সব জায়গায় মুক্তচিন্তার জায়গা সংকুচিত হয়ে আসছে, সেখানে এরকম আয়োজন করতে গেলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের আয়োজনে আমরা যেসব বিষয়ে সরাসরি আলোচনা করবো তা বিশ্বের কোথাও হয়তো একত্রে করা সম্ভব নয়। নারী ইস্যু, হ্যাশট্যাগ মি টু, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসবে বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা। ঢাকা লিট ফেস্টের ধারণাটি অনেক শক্তিশালী বলে আমি মনে করি। আমরা যা বলতে চাই, তা বলে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’

আহসান আকবার বলেন, ‘সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই এ বছরের আয়োজনে অংশ নেওয়ার জন্য। অনেকেই দ্বিতীয়বারের মতো আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। পুলিৎজার, অস্কার, কমনওয়েলথের মতো নামিদামি পুরস্কার বিজয়ীরা এবার এসেছেন, যাদের নাম নিয়ে আমি শেষ করতে পারব না। বাংলাদেশকে বিশ্বের সাহিত্যের বাজারে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’

লিট ফেস্টে আলোচনা, পারফরম্যান্স, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা আয়োজনে শতাধিক সেশন থাকছে। আরও আছে আনপ্লাগড মিউজিক কনসার্ট। সম্ভাব্য সেশনের আনুষ্ঠানিক তালিকা ইতোমধ্যেই লিট ফেস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। www.dhakalitfest.com-এ পাওয়া যাবে অনুষ্ঠান তালিকা।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
১ min read
error: Content is protected !!