মুক্তিসংগ্রামের চলচ্চিত্র
১ min read
আমাদের স্বাধীনতা, শুধু আমাদের মানচিত্র বা ভূখণ্ড নয়; স্বাধীনতা আমাদের শিল্প-সাহিত্য, শিল্পকলা, নাটক, চলচ্চিত্রে এনে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।
আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি আন্দোলিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। বেগবান হয়েছে গল্প-কবিতা, উপন্যাস, নাটক, চলচ্চিত্র, শিল্পকলাসহ শিল্পের নানা মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে নাটকের জন্য মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ আর চলচ্চিত্রের ‘জীবন থেকে নেয়া’ আমাদের চেতনায় শক্তি সঞ্চয় করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রের ইতিহাস বস্তুত এ দেশের চলচ্চিত্র নির্মাণের যে সংগ্রাম, তার সমান্তরাল। যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করেই যাত্রা শুরু করেছে। সশস্ত্র যুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধের অংশ হিসেবে তখনই নির্মিত হয় চলচ্চিত্র এবং যুদ্ধে অংশ নেয় নির্মাতা, শিল্পী-কুশলী ও বিভিন্ন সংগঠন। ’৭১-এর ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার মুজিবনগরে শপথ নেয়। ওই সময় গঠিত হয় সরকারের অধীনে চলচ্চিত্র বিভাগ। আবুল খায়ের এমএনএর দায়িত্বে এবং আবদুল জব্বার খান ছিলেন পরিচালক। ক্যামেরাম্যান ছিলেন আসিফ আলী। তার সহযোগী ছিলেন ফেরদৌস হালিম এবং পা-ুলিপিকার ছিলেন আবুল মঞ্জুর। এই ইউনিট চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শন-প্রচারে সহায়তা করে।
অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে কলকাতায় বাঙালিদের নিয়ে গঠিত হয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এসবের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলী সহায়ক সমিতি, বাংলাদেশ বুদ্ধিজীবী মুক্তিসংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থা। প্রথমটির সভাপতি ও দ্বিতীয়টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জহির রায়হান।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুশলী সহায়ক সমিতি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাসীর সমর্থনের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে চারটি প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘এ স্টেট ইজ বর্ন’, ‘ইনোসেন্ট মিলিয়ন্স’ ও ‘লিবারেশন ফাইটার্স’ ছিল ১৯/২০ মিনিট সময়কালের।
প্রথম দুটির পরিচালক জহির রায়হান, তৃতীয়টির বাবুল চৌধুরীর এবং চতুর্থটি আলমগীর কবিরের। এসব চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সরাসরি চিত্রায়ণের মাধ্যমে স্বাধীনতার সত্যায়ন করা, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় ও বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করা, পাকহানাদার বাহিনীর নির্মমতা তুলে ধরা এবং সর্বোপরি দেশবাসীকে উদ্ধুদ্ধ করা।
এর মধ্যে ‘স্টপ জেনোসাইড’ চলচ্চিত্রটির বিষয়বস্তু, নির্মাণশৈলী, আঙ্গিক ও উপস্থাপনা নান্দনিকতায় ভাস্বর। এ চলচ্চিত্রে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা, বিশ্ব বিবেকের নিস্পৃহতা, শরণার্থীদের সুখ-দুঃখ-কষ্ট এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রস্তুতি দেখানো হয়েছে কুশলতার সঙ্গে।
চলচ্চিত্রটি দেশ-বিদেশে প্রশংসা পেয়েছে এবং তাসখন্দ চলচ্চিত্র কমিটি ও আফ্রো-এশিয়া সংহতি পরিষদের ‘সিডলিক’ পুরস্কারে ভূষিত হয়। বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় খ- জহির রায়হানের ‘এ স্টেট ইজ বর্ন’। চলচ্চিত্রটি ইতিহাসভিত্তিক। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানিদের নির্যাতনের ঘটনা এবং বাঙালির বিভিন্ন আন্দোলনের প্রামাণ্য ইতিহাস। বাবুল চৌধুরীর ‘ইনোসেন্ট মিলিয়ন্স’-এ হানাদার বাহিনীর নৃশংসতার শিকার নারী ও শিশুদের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট তুলে ধরা হয়েছে। আলমগীর কবিরের ‘লিবারেশন ফাইটার্স’ ছবিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কার্যক্রম উঠে এসেছে।
সচেতন মহলের এ কথা জানা যে, চলচ্চিত্রে বাঙালির সংগ্রামকে প্রথমে পর্দায় উপস্থাপন করেন জহির রায়হান। স্টুডিওর বন্ধ ঘরে নয়, জহির রায়হান ছবি নির্মাণের জন্য নেমে আসেন রাস্তায়। ১৯৬৮-৬৯ সালে শহীদ মিনারে প্রতিবাদমুখর মানুষের ছবি হয়ে উঠলো ‘জীবন থেকে নেয়া’, অন্যদিকে যুদ্ধের আগমূহূর্তে ফখরুল আলম নির্মাণ করেন ‘জয় বাংলা’। পাকিস্তানি সেন্সর বোর্ড আটকে রেখেছিল ছবিটি। অনেক দিন পর মুক্তি পায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে।
১৯৭১ থেকে ২০০১৬ – স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে গেছে। স্বাধীনতা লাভের এই ৪৫ বছরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে পরিমাণ গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক বা শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়েছে, সে তুলনায় চলচ্চিত্রের সংখ্যা বলতে গেলে হাতেগোনা। স্বাধীনতার পরবর্তী এই সময়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্যচিত্রসহ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মিলিয়ে ১০০টির বেশি ছবি নির্মাণ হয়নি। অথচ হিসাব করলে দেখা যায়, আমাদের এই ছোট জনপদেও প্রতিবছর গড়ে ৭০/৮০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি নির্মিত হয়। এ সব চলচ্চিত্রে ৯০ ভাগই অশ্লীল, নকল আর নিম্ন রুচির পরিচয় বহন করে। বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্মাণ করা হয় ওই সব চলচ্চিত্র।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম কাহিনিচিত্র নির্মাণ করেন চাষী নজরুল ইসলাম। সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিষয় নিয়ে ওই ছবি নির্মিত। ১৯৭১ সালে নির্মিত ‘ওরা এগারো জন’ চলচ্চিত্রটিতে এগারো জন মুক্তিযোদ্ধার ৯ মাসব্যাপী প্রত্যক্ষ যুদ্ধের ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় এ ছবিটি। একই বছর মুক্তি পায় সুভাষ দত্তের ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, আনন্দের ‘বাঘা বাঙালি’ এবং মমতাজ আলীর ‘রক্তাক্ত বাংলা’। ১৯৭৩ সালের তিনটি ছবি আলমগীর কবিরের ‘ধীরে বহে মেঘনা’, খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এবং আলমগীর কুমকুমের ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সফল ছবি। যুদ্ধোত্তর একটি সমস্যাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দ্বিতীয় ছবি ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’র নায়ক একজন মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে তিনি মারা যান। দ্বিতীয় নায়ক একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি সীমান্ত অতিক্রম করেন। যুদ্ধের আগে এক গ্রামে শুটিং করতে গিয়ে নায়িকার সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে।
যুদ্ধের পরে ফিরে এসে দ্বিতীয় নায়ক জানতে পারলো, নায়িকা যুদ্ধের সময় ধর্ষিত হয়েছে এবং বর্তমানে পিতৃপরিচয়হীন এক সন্তানের জননী। শুধু নায়িকাই নয়, তার মতো আরো অনেক তরুণীর ভাগ্যে এই লাঞ্ছনা জুটেছে। চলচ্চিত্র অভিনেতা মরিয়া হয়ে ওঠেন। এই হতভাগ্য তরুণী এবং তাদের সন্তানদের সামাজিকভাবে গ্রহণ করার দাবি তুলে ধরা হয় এ চলচ্চিত্রে।
যুদ্ধোত্তর সমস্যাকে নিয়ে খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোমার মানুষ হ’ ছবির চরিত্ররা প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেয় যুদ্ধে। যুদ্ধের পর দেখানো হচ্ছে তারা লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। এ সব দেখে খান আতা তাদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ভালো হয়ে যায়, অস্ত্র ফেলে দেয়। এ ছাড়া মিতার ‘আলোর মিছিল’ মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। এ ছবিটি স্বাধীনতা-উত্তর দেশের সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত হারুনুর রশীদ পরিচালিত ‘মেঘের অনেক রঙ’ একটি ভালো মানের ছবি। মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আরো একটি সফল ছবি নির্মাণ করেন আবদুস সামাদ। ‘সূর্যগ্রহণ’ নামে ওই ছবিটি ১৯৭৩ সালে নির্মিত হয়।
মূলত ব্যক্তিপ্রেমের জটিলতা নিয়ে তৈরি এ চলচ্চিত্রটি। ছবির দুজন নায়কের একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। যুদ্ধে তার একটি পা খোড়া হয়ে যায়। আর্মি ক্র্যাকডাউনের পর নায়িকার সঙ্গে তার কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত আছে।
স্মৃতি হিসেবে সেসব দৃশ্য মনে হয় দুজনেরই। একজন নায়ক মুক্তিযোদ্ধা এবং তার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধ এসেছে এই ছবিতে। সে স্মৃতিচারণ সংক্ষিপ্ত। ছবির অধিকাংশ অংশ জুড়ে রয়েছে দুই নায়ক ও এক নায়িকার ত্রিভূজ প্রেমের জটিলতা।
আশির দশকের মাঝামাঝিতে মুক্তি পায় শহীদুল হক খানের ‘কলমীলতা’ এবং আলমগীর কুমকুমের ‘রূপালী সৈকত’। এ দুটি ছবিই আপন বৈশিষ্ট্যে অনন্য। প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আমাদের উপহার দেন ‘আগুনের পরশমণি’। ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় এ ছবিটি। ছবিটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক না হলেও যুদ্ধের উন্মাদনা আছে। প্রয়াত শেখ নিয়ামত আলী, মোরশেদুল ইসলাম, কবীর আনোয়ার মুক্তিযুদ্ধ ও জীবনঘনিষ্ঠ ছবি নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। নাসির উদ্দিন ইউসুফও মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘একাত্তরের যীশু’ নির্মাণ করে ব্যাপক আলোচিত হন। এ ছবিটি সেন্সর বোর্ড আটকে দিয়েছিল। পরে আদালতে আপিল করে বিজয়ী হন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধকে শিল্পিতভাবে পর্দায় উপস্থাপনের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির নির্মাতারা। ১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মোরশেদুল ইসলামের ‘আগামী’ থেকে শুরু করে ‘সূচনা’ , ‘ঠিকানা’, ‘মুক্তি’, ‘স্মৃতি একাত্তর’, ‘নদীর নাম মধুমতি’, ‘আবর্তন’, ‘কালো চিল’, ‘চাকা’, ‘হুলিয়া’ ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘দেয়াল’, ‘চিত্রা নদীর পারে’ আমাদের জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের সৎ রূপায়ণের উজ্জ্বল।
অন্যদিকে ‘কীর্তনখোলা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন শাহাজাহান চৌধুরী। জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের চলচ্চিত্রের প্রায় সব বৈশিষ্ট্য আমরা পেয়েছি প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’-এ। তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ ১৯৯৫ সালে এ ছবিটি নির্মাণ করেন। ছবির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়। লিয়ার লেভিন নামে এক মার্কিন চলচ্চিত্রকার যুদ্ধের সময় ট্রাকবাহী একটি সংগীত দলের সঙ্গে ক্যাম্পের পথে পথে ঘুরে চিত্রগ্রহণ করেন। এ দলটির কার্যক্রম ছিল মুক্ত অঞ্চলের যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে গান গেয়ে উদ্বুদ্ধ করানো। যুদ্ধের সময় তোলা এসব ফুটেজ ১০ বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উদ্ধার এবং আরো অন্যান্য সূত্র থেকে নিদর্শন সংগ্রহ করে ‘মুক্তির গান’ নির্মাণ করেন মাসুদ দম্পতি। এ চলচ্চিত্রটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের এক অনন্য প্রামাণ্য দলিল।
বলতে গেলে ‘আগামী’ আর ‘হুলিয়া’ দিয়ে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির যাত্রা শুরু। শুরু একটি নতুন আন্দোলন-সংগ্রামের। মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র আর চলচ্চিত্রে মুক্তিসংগ্রাম গড়ে উঠলো প্রথমবারের মতো অভিন্ন অভিনয়ে। গড়ে উঠল ১৬ মি.মি.-এর বিকল্প ফরম্যাট, বিকল্প প্রদর্শনের ব্যবস্থা। তিন মিনিটের অ্যামিনেশন, প্রায় এক ঘণ্টার প্রামাণ্যচিত্র থেকে শুরু করে দেড় ঘণ্টার ‘একাত্তরের যীশু’, আড়াই ঘণ্টার ‘দুলাই’-এ সব ছবিকে বলা হলো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরো কিছু ভালো ছবি ‘প্রত্যাবর্তন, ‘সূচনা’, ‘দূরত্ব’, ‘বখাটে’, ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা’, ‘ধূসর যাত্রা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘এখনো অনেক রাত’, ‘ইতিহাস কন্যা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’ প্রভৃতি। এ সব ছবির মধ্যে ‘জয়যাত্রা’ ও ‘শ্যামল ছায়া’ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।
-রিশিত খান