মার্চ ২৮, ২০২৪ ৬:০৪ অপরাহ্ণ || ইউএসবাংলানিউজ২৪.কম

সীমান্তে উত্তেজনা : যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা বললেন শি জিনপিং

১ min read

ভারতের কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) ওপারে চীন সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন বাড়ালে ভারতও পাল্লা দিয়ে সেনা মোতায়েন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার (২৭ মে) ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের যেসব অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ নিয়ে চীন আপত্তি তুলেছে, তা-ও চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় ভারত।

ভারতের এ সিদ্ধান্তের মধ্যেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। চলমান এ উত্তেজনার মধ্যেই চীনা প্রেসিডেন্টের যুদ্ধের প্রস্তুতির মন্তব্য পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

শি জিনপিং বলেন, ‘যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে। সে জন্য সামগ্রিক প্রশিক্ষণ জরুরি।’

চীনের ‘সার্বভৌমত্ব রক্ষা’ এবং ‘দেশের কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য’ যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে দেশটির সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন শি জিনপিং। চীনা সেনার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার সময় এই মন্তব্য করেছেন চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান শি জিনপিং।

কূটনীতিকদের মতে, করোনা নিয়ে মার্কিন দোষারোপ, তাইওয়ান পরিস্থিতি এবং ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের বাতাবরণে সেনাবাহিনীকে এ বার্তা দিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগে চীন অভিযোগ করেছিল, করোনা সংক্রমণের দায় তাদের চাপিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে আমেরিকা।

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত ও তিন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে মোদী দেশটির বিদেশ মন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজমুকুন্দ নরবণও বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে এ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন।

গত ৫ মে থেকে ভারত-চীন সীমান্তের পশ্চিম ভাগে বা ওয়েস্টার্ন সেক্টরে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত চলছে। সীমান্তে ভারতের ‘ফিঙ্গার থ্রি’ ও ‘ফিঙ্গার ফোর’-এর মধ্যে রাস্তা তৈরি এবং গালওয়ান ভ্যালির সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তার কাজেও চীন আপত্তি তোলে। ৫ মে রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাঙ্গং লেকের কাছে চীন ভারতীয় সেনাবাহিনীর টহল বাহিনীকে বাধা দেয়। এর পর থেকেই ওই দুই এলাকায় মুখোমুখী অবস্থানে রয়েছে দেশ দুইটির সেনাবাহিনী।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত ও তিন সামরিক বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে চলমান বিবাদের মীমাংসা আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক স্তরেই সম্ভব বলে মত দেন সবাই। তবে মীমাংসার আগ পর্যন্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজের অবস্থানে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে চীন প্রায় ১০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে।

তিব্বতের গারি গুনশা ঘাঁটিতেও চলছে নির্মাণকাজ। সেখানে রয়েছে বেশ কিছু যুদ্ধবিমানও। এদিকে এ উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (২৬ মে) ভারত থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে চীন।

Comments

comments

More Stories

১ min read
১ min read
error: Content is protected !!